অনলাইন ডেস্ক: আশরাফুলের বাবা সহিদুর রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধা। স্ত্রী ও এক খালাতো বোনকে ‘বোন’ বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন বলে স্কুলশিক্ষক আশরাফুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
মুক্তিযোদ্ধা কোটার সদ্ব্যবহার করে স্ত্রী ও খালাতো বোনকে চাকরি দিতে তিনি এ জালিয়াতি করেন।
গত সোমবার নাসরিন আক্তার ও শাপলা আক্তারের বিরুদ্ধে ইউএনও’র কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সরন মিয়া।
সরন মিয়া বলেন, আশরাফুল আলম চাকরি দেয়ার কথা বলে আরো অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। এখন ঘটনাটি ফাঁস হওয়ায় তিনি এলাকা ছেড়েছেন।
বকশীগঞ্জের ইউএনও আ স ম জামশেদ খোন্দকার বলেন, অভিযোগটি পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শিক্ষা কার্যালয় থেকে পাওয়া কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, আশরাফুল, নাসরিন ও শাপলা ২০১৬ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে যোগ দেন। তিনজনই জন্মসনদসহ বিভিন্ন কাগজপত্রে বাবা হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা সহিদুর রহমানের নাম উল্লেখ করেন।
প্রত্যয়নপত্র ও জন্মসনদ নেয়া হয়েছে মেরুর চর ইউপি থেকে। ওই ইউপির তৎকালীন চেয়ারম্যান গোলাম মওলা বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সহিদুর রহমানকে তিনি চিনেন। কিন্তু তার কয় সন্তান, তা তার (চেয়ারম্যান) জানা ছিল না। এ সুযোগে আশরাফুলের স্ত্রী ও খালাতো বোনকে নিজের বোন বানিয়ে তার (চেয়ারম্যান) সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। এলাকার অনেক মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আশরাফুল এখন পলাতক।
এ বিষয়ে কথা বলতে আশরাফুলের মুঠোফোনে কয়েকবার কল দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। গত রোববার রবিয়ার চর গ্রামে আশরাফুলের বাড়িতে গিয়েও তার পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে বাড়িতে খালাতো বোন শাপলা ও তার মা মনোয়ারা বেগমকে পাওয়া যায়।
শাপলা আক্তার বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় তার চাকরি হয়েছে কি না, তা তিনি জানেন না। আশরাফুলই তার চাকরির ব্যবস্থা করেছেন। এ জন্য ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন। আর নাসরিন আক্তারও তার বোন নয়, স্ত্রী। তিনি বলেন, তার বাবার নাম বেলাল মিয়া। মুক্তিযোদ্ধা সহিদুর রহমান আসলে তার খালু।
গত বুধবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, ওই তিনজন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নিয়েছেন। ঘটনাটি এর আগেও একবার তদন্ত হয়েছিল। কিন্তু তার ফলাফল কী হয়েছে, তা তিনি জানেন না।
মতিহার বার্তা ডট কম: ৩০ আগষ্ট ২০২০
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.